Menu

Hi dear visitor, Good Night

শবে বরাত: ফজিলত, আমল ও প্রচলিত বিভ্রান্তি

শবে বরাত: ফজিলত, আমল, নামাজের নিয়ম ও প্রচলিত বিভ্রান্তি

শবে বরাত: ফজিলত, আমল, নামাজের নিয়ম ও প্রচলিত বিভ্রান্তি

শবে বরাত কী?

শবে বরাত, যা লাইলাতুল বরাত নামেও পরিচিত, হিজরি বর্ষপঞ্জির শাবান মাসের ১৪ তারিখের দিবাগত রাত। ইসলামে এটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি আল্লাহ তাআলার রহমত, মাগফিরাত ও বরকতের রাত হিসেবে বিবেচিত।

শবে বরাতের ফজিলত

শবে বরাতের ফজিলত সম্পর্কে সহিহ হাদিসে উল্লেখ রয়েছে:

হজরত মুআয ইবনে জাবাল (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন:
**"আল্লাহ তাআলা অর্ধ-শাবানের রাতে (শাবানের ১৪ তারিখের রাত) দুনিয়ার দিকে রহমতের দৃষ্টি দেন এবং মুশরিক ও বিদ্বেষ পোষণকারী ব্যতীত সকলকে ক্ষমা করে দেন।"** (তিরমিজি: ৭৩৯, ইবনে মাজাহ: ১৩৯০)

এছাড়া আরও একটি হাদিসে এসেছে:

রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন,
**"শাবান মাসের মধ্যরাতে আল্লাহ তাআলা তাঁর সৃষ্টিজগতের দিকে রহমতের দৃষ্টি দেন এবং মুশরিক ও বিদ্বেষপোষণকারী ছাড়া সবাইকে ক্ষমা করে দেন।"** (মুসনাদ আহমাদ: ৬৬৪২, সহিহ ইবনে হিব্বান: ৫৬৬৫)

শবে বরাতের আমল

এই রাতে কিছু বিশেষ আমল করা যেতে পারে, যা সহিহ হাদিসে উল্লেখ আছে:

  • নফল নামাজ: দুই রাকাত বা তার বেশি নামাজ পড়া। (সহিহ মুসলিম: ১১৫৬)
  • কুরআন তিলাওয়াত: আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য কুরআন পড়া।
  • তাওবা ও ইস্তিগফার: গুনাহ মাফের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া।
  • দরুদ শরীফ পাঠ: নবী (সাঃ)-এর প্রতি দরুদ পাঠ করা।
  • রোজা রাখা: রাসূলুল্লাহ (সাঃ) শাবান মাসে বেশি রোজা রাখতেন। (সহিহ মুসলিম: ১১৫৬)

শবে বরাতের নামাজের নিয়ম

শবে বরাতে কোনো নির্দিষ্ট নামাজের নিয়ম নেই, তবে একাকী নফল নামাজ পড়া যায়। দুই রাকাতে সূরা ফাতিহার পর যেকোনো সূরা পড়া যেতে পারে।

প্রচলিত বিভ্রান্তি ও কুসংস্কার

শবে বরাত উপলক্ষে কিছু কুসংস্কার ও বিদআত প্রচলিত রয়েছে:

  • আতশবাজি ও পটকা ফুটানো।
  • শবে বরাতে বিশেষ খাবার (হালুয়া-রুটি) বিতরণ করা।
  • মাজার বা কবরস্থানে বিশেষভাবে জমায়েত হওয়া।

এসব কাজ ইসলামের মূল শিক্ষার সাথে সংগতিপূর্ণ নয় এবং এড়িয়ে চলা উচিত।

নির্ধারিত দৃষ্টিভঙ্গি

শবে বরাত একটি গুরুত্বপূর্ণ রাত, যা আল্লাহর রহমত ও ক্ষমা লাভের সুযোগ প্রদান করে। তবে, এতে শিরক বা বিদআত পরিহার করে একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর ইবাদত করা উচিত। সহিহ হাদিস অনুযায়ী আমল করলে এ রাতের ফজিলত লাভ করা সম্ভব। আল্লাহ আমাদের সবাইকে সহিহ পথে পরিচালিত করুন।

তথ্যসূত্র

  • সহিহ মুসলিম: ১১৫৬ (রাসূল (সাঃ) শাবান মাসে বেশি রোজা রাখতেন)
  • তিরমিজি: ৭৩৯ (শবে বরাতে রহমতের দৃষ্টি প্রদান)
  • ইবনে মাজাহ: ১৩৯০ (শবে বরাতে ক্ষমা প্রদান)
  • মুসনাদ আহমাদ: ৬৬৪২ (শবে বরাতে রহমতের দৃষ্টি)
  • সহিহ ইবনে হিব্বান: ৫৬৬৫ (শবে বরাতে ক্ষমা প্রদান)

0 Response to "শবে বরাত: ফজিলত, আমল ও প্রচলিত বিভ্রান্তি"

Post a Comment

Hi Dear Visitor! ✨
We’d love to hear your thoughts!
Feel free to leave a comment below. 💬

post top ads

Post middle ads

Post middle ads 2

Post down ads