ভাবসম্প্রসারণ লেখার নিয়ম
ভাবসম্প্রসারণ লেখার নিয়ম
ভাবসম্প্রসারণ একটি নির্দিষ্ট উক্তি বা প্রবাদ বাক্যের গভীর অর্থ ব্যাখ্যা করা। এটি লেখার সময় মূল ভাবকে সুন্দরভাবে প্রকাশ করা হয় এবং বিষয়বস্তুর প্রসঙ্গ অনুযায়ী উদাহরণ দিয়ে সমর্থন করা হয়।
ভাবসম্প্রসারণ লেখার ধাপসমূহ:
মূল ভাব: প্রদত্ত প্রবাদ বাক্য বা উক্তির মূল অর্থ বুঝিয়ে দেওয়া। এটি সংক্ষেপে লিখতে হয় এবং পাঠকের কাছে প্রাসঙ্গিক ব্যাখ্যা দিতে হয়।
সম্প্রসারিত ভাব: মূল ভাবের বিস্তারিত ব্যাখ্যা করা হয়। উদাহরণ ও যুক্তি দিয়ে বিষয়টি স্পষ্ট করা হয়। বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কিত তথ্য বা উপমা ব্যবহার করলে ভাব আরও প্রাণবন্ত হয়।
মন্তব্য: নিজের মতামত বা মূল্যায়ন তুলে ধরা। ভাবসম্প্রসারণের প্রাসঙ্গিকতা সমাজ, জীবন বা নৈতিকতার সঙ্গে যুক্ত করতে হয়। লেখাটি একটি সুন্দর উপসংহারে নিয়ে আসা।
ভাবসম্প্রসারণ লেখার সময় করণীয়:
- ভাষা সহজ ও প্রাঞ্জল হওয়া উচিত।
- অপ্রাসঙ্গিক তথ্য এড়িয়ে চলতে হবে।
- বাক্যের সংক্ষেপণ ও সুনির্দিষ্টতা বজায় রাখতে হবে।
- মূল ভাবকে কখনোই পরিবর্তন করা যাবে না।
উদাহরণ:
প্রবাদ বাক্য: "পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি।"
মূল ভাব: এই প্রবাদ বাক্যে পরিশ্রমের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে।
সম্প্রসারিত ভাব: পরিশ্রম ছাড়া জীবনে কোনো সাফল্য সম্ভব নয়। এটি সফলতার চাবিকাঠি।
মন্তব্য: তাই, আমাদের জীবনে পরিশ্রমকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
এই নিয়ম অনুসরণ করে যেকোনো ভাবসম্প্রসারণ সুন্দর ও প্রাঞ্জলভাবে লেখা সম্ভব।
0 Response to "ভাবসম্প্রসারণ লেখার নিয়ম"
Post a Comment
Hi Dear Visitor! ✨
We’d love to hear your thoughts!
Feel free to leave a comment below. 💬