Menu

Hi dear visitor, Good Morning

রচনা: যেসহে, সে রহে

রচনা: যেসহে, সে রহে

ভূমিকা:
বাংলা প্রবাদ "যেসহে, সে রহে" আমাদের জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রদান করে। এটি বোঝায় যে ধৈর্য ও সহিষ্ণুতা মানুষের দীর্ঘস্থায়ী সাফল্য ও শান্তির মূল চাবিকাঠি। কঠিন পরিস্থিতিতেও যে ব্যক্তি ধৈর্য ধরে ও সহিষ্ণুতা প্রদর্শন করে, সে জীবনে টিকে থাকে এবং উন্নতি লাভ করে।

সহিষ্ণুতার গুরুত্ব:
সহিষ্ণুতা মানুষের চারিত্রিক গুণাবলির মধ্যে অন্যতম। এটি আমাদের মানসিক শক্তি বাড়ায় এবং প্রতিকূল অবস্থার সঙ্গে লড়াই করতে সাহায্য করে। জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে, যেমন পরিবার, সমাজ ও কর্মস্থলে সহিষ্ণু ব্যক্তি সবার শ্রদ্ধা অর্জন করে এবং টিকে থাকার শক্তি লাভ করে।

জীবনে সহিষ্ণুতার প্রভাব:
যে ব্যক্তি জীবনের প্রতিকূলতা ধৈর্যের সঙ্গে মোকাবিলা করতে পারে, সে ব্যক্তি মানসিকভাবে শক্তিশালী হয়। সমাজে নানা ধরনের মানুষ থাকে, তাদের চিন্তা-ভাবনা, সংস্কৃতি ও মতাদর্শ ভিন্ন হতে পারে। যদি আমরা সহিষ্ণু না হই, তবে সংঘর্ষ ও বিশৃঙ্খলা বৃদ্ধি পায়। তাই সহিষ্ণুতা আমাদের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের শিক্ষা দেয়।

কর্মজীবনে সহিষ্ণুতা:
কর্মক্ষেত্রে একজন সহিষ্ণু ব্যক্তি সহজেই সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে পারে। একজন দক্ষ কর্মী বা নেতা সব সময় ধৈর্য ধরে সহকর্মীদের মতামত গ্রহণ করেন এবং সংকটের সময় বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে সিদ্ধান্ত নেন।

ধর্ম ও দর্শনে সহিষ্ণুতার শিক্ষা:
প্রত্যেক ধর্ম ও দর্শন সহিষ্ণুতার শিক্ষা দেয়। মহান ব্যক্তিরা, যেমন মহাত্মা গান্ধী, নেলসন ম্যান্ডেলা, ও রাসুল (সা.), সকলেই সহিষ্ণুতার মাধ্যমে বিশ্বকে পরিবর্তন করেছেন। তাঁদের জীবন থেকে আমরা শিখতে পারি যে, ধৈর্য ও সহিষ্ণুতাই প্রকৃত বিজয়ের পথ।

উপসংহার:
"যেসহে, সে রহে" প্রবাদটি আমাদের জীবনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা বহন করে। ধৈর্য ও সহিষ্ণুতা না থাকলে মানুষ সহজেই হতাশ হয়ে পড়ে এবং সাফল্যের পথ হারিয়ে ফেলে। তাই আমাদের উচিত জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ধৈর্য ও সহিষ্ণুতাকে ধারণ করা, যাতে আমরা শান্তিপূর্ণ, সফল ও সুখী জীবন গড়ে তুলতে পারি।

0 Response to "রচনা: যেসহে, সে রহে"

Post a Comment

Hi Dear Visitor! ✨
We’d love to hear your thoughts!
Feel free to leave a comment below. 💬

post top ads

Post middle ads

Post middle ads 2

Post down ads