Menu

Hi dear visitor, Good Afternoon

অনুচ্ছেদ রচনা: মানবজীবনে পরমতসহিষ্ণুতা

অনুচ্ছেদ রচনা: মানবজীবনে পরমতসহিষ্ণুতা

পরমতসহিষ্ণুতা হল অন্যের মতামত, বিশ্বাস ও চিন্তার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকার গুণ। সমাজে মানুষের চিন্তা-ভাবনা ও মতামতে পার্থক্য থাকাটাই স্বাভাবিক, কিন্তু যদি একে অপরের মতামতকে সম্মান না করা হয়, তাহলে দ্বন্দ্ব ও সংঘাত সৃষ্টি হতে পারে। পরমতসহিষ্ণুতা ব্যক্তি ও সামাজিক জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, কারণ এটি পারস্পরিক বোঝাপড়া, সৌহার্দ্য ও শান্তি বজায় রাখতে সহায়তা করে। ধর্ম, রাজনীতি এবং সামাজিক বিষয়ে মতভিন্নতা থাকতেই পারে, তবে সহিষ্ণুতার মাধ্যমে সেসব মতপার্থক্য সমাধান করা সম্ভব। এ গুণটি গণতন্ত্র, সামাজিক স্থিতিশীলতা এবং পারস্পরিক সম্পর্কের উন্নতির জন্য অপরিহার্য।

পরমতসহিষ্ণুতার অভাব সমাজে বিদ্বেষ, হিংসা ও বিভাজন সৃষ্টি করতে পারে। শিক্ষার মাধ্যমে এই গুণের চর্চা করা সম্ভব, কারণ শিক্ষা মানুষকে যুক্তিবাদী ও সহনশীল হতে শেখায়। ছোটবেলা থেকেই পরিবারের মাধ্যমে শিশুদের পরমতসহিষ্ণুতার শিক্ষা দেওয়া জরুরি। অন্যের মতামত শোনা, বিবেচনা করা এবং শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে ভিন্নমতের প্রতি সহনশীলতা গড়ে তোলা সম্ভব। একটি উন্নত ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনের জন্য প্রত্যেক ব্যক্তির উচিত পরমতসহিষ্ণুতার চর্চা করা, যাতে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সম্প্রীতি বজায় থাকে।

0 Response to "অনুচ্ছেদ রচনা: মানবজীবনে পরমতসহিষ্ণুতা"

Post a Comment

Hi Dear Visitor! ✨
We’d love to hear your thoughts!
Feel free to leave a comment below. 💬

post top ads

Post middle ads

Post middle ads 2

Post down ads