Menu

Hi dear visitor, Good Morning

রোজা ভঙ্গের কারণ ও প্রতিকার সমূহ?

রোজা ভঙ্গের কারণ ও প্রতিকার

রোজা ভঙ্গের কারণ ও প্রতিকার

রোজা ভঙ্গের কারণ

ইসলামিক শরিয়তে কিছু নির্দিষ্ট কারণ আছে, যা রোজা ভঙ্গের কারণ হয়। এগুলো দুই ভাগে বিভক্ত:

১. কাফফারা (প্রায়শ্চিত্ত) এবং কাজা উভয়ই করতে হয়

  • ইচ্ছাকৃতভাবে খাবার বা পানীয় গ্রহণ: যদি কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে কিছু খায় বা পান করে, তবে তার রোজা ভেঙে যাবে। (বুখারি, মুসলিম)
  • ইচ্ছাকৃতভাবে বীর্যপাত ঘটানো: যদি কেউ জেনে-শুনে এমন কিছু করে যাতে বীর্যপাত ঘটে, তবে তার রোজা ভেঙে যাবে।
  • স্বামী-স্ত্রীর মিলন: যদি রোজার অবস্থায় স্বামী-স্ত্রী মিলনে লিপ্ত হয়, তবে তাদের রোজা ভেঙে যাবে এবং কাফফারা আদায় করতে হবে।

২. শুধু কাজা করতে হবে

  • অবচেতন অবস্থায় বমি করে ফেলা: যদি কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে বমি করে, তবে রোজা ভেঙে যাবে। (তিরমিজি)
  • ঋতুস্রাব বা প্রসবজনিত রক্তপাত: নারীদের জন্য এটি রোজা ভঙ্গের কারণ হয়, এবং পরবর্তী সময়ে রোজার কাজা করতে হয়।
  • ইনজেকশন বা স্যালাইন গ্রহণ: যদি এটি পুষ্টি সরবরাহের জন্য হয়, তবে রোজা ভেঙে যাবে।

রোজা ভঙ্গ হলে প্রতিকার

১. কাজা রোজা রাখা

যদি কেউ অনিচ্ছাকৃতভাবে বা বিশেষ কারণবশত রোজা ভঙ্গ করে, তবে তাকে পরবর্তী সময়ে রোজার কাজা রাখতে হবে।

২. কাফফারা আদায় করা

কাফফারার জন্য তিনটি বিকল্প আছে:

  • একাধারে ৬০ দিন রোজা রাখা
  • ৬০ জন গরীবকে খাবার খাওয়ানো
  • একজন দাস মুক্ত করা (বর্তমানে প্রযোজ্য নয়)

রোজা ভঙ্গ না হওয়ার কয়েকটি বিশেষ অবস্থা

  • অনিচ্ছাকৃতভাবে বমি হলে রোজা ভঙ্গ হবে না। (তিরমিজি)
  • দাঁতের ফাঁকে থাকা খাবার অনিচ্ছাকৃতভাবে গিলে ফেললে রোজা ভঙ্গ হবে না।
  • স্বপ্নদোষ হলে রোজা ভঙ্গ হবে না।

শেষ কথা

রমজানে রোজা রাখার সময় আমাদের উচিত সাবধানতা অবলম্বন করা, যাতে অনিচ্ছাকৃতভাবে রোজা ভঙ্গ না হয়। আল্লাহ আমাদের রোজা সঠিকভাবে রাখার তাওফিক দান করুন। আমিন।

0 Response to "রোজা ভঙ্গের কারণ ও প্রতিকার সমূহ?"

Post a Comment

Hi Dear Visitor! ✨
We’d love to hear your thoughts!
Feel free to leave a comment below. 💬

post top ads

Post middle ads

Post middle ads 2

Post down ads